কিভাবে কম খরচে বিদেশে পড়াশোনা করবেন
✨ সাইপ্রাসে পড়াশোনার ধাপসমূহ
1. বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন
-
সাইপ্রাসে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
-
জনপ্রিয় কোর্স:
-
হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট
-
বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
-
আইটি ও কম্পিউটার সায়েন্স
-
মেডিকেল ও নার্সিং প্রোগ্রাম
-
-
প্রথমে আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ নির্ধারণ করুন।
2. ভর্তি আবেদন
-
অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করা যায়।
-
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাধারণতঃ:
-
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (SSC, HSC বা Bachelor এর Transcript/Certificate)
-
পাসপোর্টের কপি
-
ছবি
-
ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ (IELTS/TOEFL সবসময় বাধ্যতামূলক নয়, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব টেস্ট নেয়)
-
3. অফার লেটার ও টিউশন ফি
-
আপনার যোগ্যতা যাচাইয়ের পর বিশ্ববিদ্যালয় অফার লেটার পাঠাবে।
-
সাধারণত প্রথম সেমিস্টারের টিউশন ফি আগে জমা দিতে হয়।
4. ভিসা প্রসেস (স্টুডেন্ট ভিসা - Category F1)
বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসের জন্য ভিসা আবেদন করতে হবে সাইপ্রাস হাইকমিশন, নয়াদিল্লি (ভারত) এর মাধ্যমে।
-
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
-
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
-
টিউশন ফি প্রদানের রসিদ
-
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (কমপক্ষে ৭-৮ লাখ টাকা দেখাতে হয়)
-
মেডিকেল রিপোর্ট (HIV, Hepatitis B/C, X-ray ইত্যাদি)
-
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
-
বৈধ পাসপোর্ট
-
5. ভিসা অনুমোদন
-
বিশ্ববিদ্যালয় আপনার ডকুমেন্ট সাইপ্রাসে পাঠাবে।
-
সেখান থেকে ভিসা অনুমোদন আসলে আপনি বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ ভিসা/এন্ট্রি পারমিট নিয়ে সাইপ্রাস যেতে পারবেন।
6. সাইপ্রাসে পৌঁছানোর পর
-
এয়ারপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি থাকতে হবে।
-
পৌঁছানোর পর মেডিকেল চেকআপ ও রেসিডেন্স পারমিট করতে হবে।
💰 পড়াশোনার খরচ
-
টিউশন ফি: বছরে প্রায় €3,000 – €7,000 (বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন হয়)
-
থাকার খরচ: মাসে প্রায় €400 – €600
-
মোট বার্ষিক খরচ আনুমানিক €5,000 – €8,000
✅ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
-
IELTS না থাকলেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সম্ভব।
-
প্রাইভেট কলেজ/এজেন্ট থেকে ভুয়া অফার লেটার না নেওয়া উত্তম।
-
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অনুমোদিত এজেন্টের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন।
Post a Comment